সহজ কৃষি পদ্ধতি
সহজ কৃষি পদ্ধতি:-
ঐশ্বরিক স্পন্দন, যাকে চৈতন্য লহরী বলা হয় ; এটি শুধু মানব জীবনকেই উন্নত করে না ; পৃথিবী, জল, গাছপালা এবং প্রকৃতির মতো সংবেদনশীল তত্ত্বের উপরেও ক্রিয়া করে । সহজ কৃষি পদ্ধতি কৃষিকাজ এবং প্রাণী প্রতিপালনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুণগত মান এবং পরিমাণ গত বৃদ্ধি ঘটায়, যা কৃষকের জীবনে সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। যেমন – বাগান পরিচর্যা, পশুপালন, মৌমাছি প্রতিপালন, পোল্ট্রি চাষ, মাশরুম চাষ, মৎস্য চাষ, ফুল চাষ প্রভৃতি ।
সহজ কৃষি পদ্ধতি অত্যন্ত সরল যা নিচে ব্যাখ্যা করা হল ——
১) কৃষককে প্রতিদিন বাড়িতে নিয়মিত ধ্যান করতে হবে এবং সপ্তাহে একদিন সামূহিক ধ্যানে অংশ গ্রহণ করতে হবে।
২) প্রাথমিক ভাবে একজন কৃষকের উচিত সহজ কৃষি সম্পর্কে আস্থা অর্জন করা। তার জন্য তিনি তাঁর ক্ষেতের একটি অংশে চৈতন্বিত বীজ এবং জল দ্বারা চাষ করবেন এবং অন্য অংশে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহার করে প্রথাগত পদ্ধতিতে চাষ করবেন।
৩) এই পদ্ধতিতে বপনের জন্য সমস্ত বীজকে ভোরের ধ্যানের পূর্বে শ্রী মাতাজী – র ফটোর সামনে রাখতে হবে । একটি অব্যবহৃত জলভর্তি মাটির পাত্র শ্রী মাতাজী – র ফটোর সামনে চৈতন্বিত করার জন্য রাখতে হবে।
পরদিন সকালে ঐ জলকে সমস্ত জমিতে হাতে করে বা স্প্রে মেশিন দ্বারা ছড়িয়ে দিতে হবে। তারপর সেখানে বীজ বপন করে দিতে হবে । মাটির পাত্রের তলায় ফুটো করে তাতে চৈতন্যময় জল রেখে প্রধান সেচের নালী দিয়ে সারা ক্ষেত বরাবর ফোঁটা ফোঁটা করে সেই জল ছড়িয়ে দিতে হবে। সব সময় মাটির পাত্র চৈতন্যময় জলে ভরে রাখতে হবে । মনে রাখতে হবে যে প্রত্যেক বার সেচের সময় শ্রী মাতাজী- র চৈতন্যময় জলের প্রয়োগই যেন করা হয়।
৪) ক্ষেতে সমস্ত প্রতিকূলতা দূর করার জন্য চারটি জলভর্তি নারকেল কে চৈতন্বিত করে জমির 4 কোনায় পুঁতে দিতে হবে । এই সময় শ্রী গণেশ অথর্বশীর্ষ পাঠ করতে হবে। সহজ যোগীরা সামূহিক ধ্যানের পর একসঙ্গে প্রার্থনাও করতে পারে।
৫) সহজ যোগী কৃষকদের নিজেদের হাতের মাধ্যমে নিয়মিত ফসল, জল এবং সংবেদনশীল জিনিসকে চৈতন্য দিতে হবে । এই প্রক্রিয়া চলাকালীন ” শ্রী শাকম্ভরী ” দেবীর মন্ত্র উচ্চারণ করতে হবে।
৬. শ্রী মাতাজীর কাছে প্রার্থনা করে বলতে হবে, শ্রী মাতাজী, এই ক্ষেত আপনার, আপনিই কর্তা, আপনিই ভোক্তা । কৃপা করে এই ক্ষেতকে আপনি ভালো ফসল উৎপন্ন করার যোগ্য করে দিন।